দৈনন্দিন জীবনে আমরা कळটিনাটি নানা আইন ও বিধিনিষেধের সম্মুখীন হই। খবরের কাগজ, টেলিভিশন বা অফিসের জরুরি কাগজপত্রে এমন অনেক শব্দবন্ধ ব্যবহৃত হয়, যা সাধারণ মানুষের কাছে জটিল বা দুর্বোধ্য মনে হতে পারে। এই আইনি পরিভাষাগুলো না বোঝার কারণে অনেক সময় আমরা আমাদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত হতে পারি না। এই প্রবন্ধটির উদ্দেশ্য হলো আইন ও বিধিনিষেধ সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও বহুল ব্যবহৃত জটিল শব্দ বা টার্মগুলোকে সহজ বাংলায় ব্যাখ্যা করা, যাতে যে কেউ সহজেই এই বিষয়গুলো বুঝতে পারে। আসুন, আইনের এই জটিল জগতকে একটু সহজ করে জানি।
কেন আইনি পরিভাষা জানা জরুরি?
আইন আমাদের সমাজের কাঠামো তৈরি করে এবং আমাদের অধিকার রক্ষা করে। আইনি শব্দ বা টার্মগুলো সঠিকভাবে বুঝতে পারলে আমরা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজেদের করণীয় সম্পর্কে সচেতন হতে পারি। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় হোক, ব্যবসায়িক চুক্তি হোক, কিংবা কোনো অপরাধের শিকার হলে আইনি সহায়তা নেওয়ার ক্ষেত্রেই হোক – এই পরিভাষাগুলোর জ্ঞান অপরিহার্য। এই শব্দকোষ আপনাকে সেই প্রাথমিক ধারণা দিতে সাহায্য করবে।
আইন ও বিধিনিষেধের গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ও তার সহজ ব্যাখ্যা:
এখানে আমরা কিছু বহুল প্রচলিত আইনি শব্দ এবং সেগুলোর সহজবোধ্য ব্যাখ্যা তুলে ধরছি:
১. আইন (Law):
* সহজ ব্যাখ্যা: আইন হলো এমন কিছু নিয়মকানুন যা রাষ্ট্র বা সমাজ দ্বারা তৈরি ও প্রয়োগ করা হয়। এই নিয়মগুলো সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করা এবং অপরাধ দমন করার জন্য অপরিহার্য। আইন ভঙ্গ করলে শাস্তির বিধান থাকে।
* উদাহরণ: বাংলাদেশের দণ্ডবিধি একটি আইন, যেখানে বিভিন্ন অপরাধ ও তার শাস্তির বর্ণনা দেওয়া আছে।
২. বিধি
(Rule/Regulation):
* সহজ ব্যাখ্যা: বিধি হলো কোনো নির্দিষ্ট আইনকে সঠিকভাবে কার্যকর করার জন্য প্রণীত বিস্তারিত নিয়মাবলী। এটি আইনের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে এবং নির্দিষ্ট পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া নির্দেশ করে।
* উদাহরণ: আয়কর আইনের অধীনে কীভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে, তার জন্য আয়কর বিধিমালা রয়েছে।
৩. অধিকার
(Right):
* সহজ ব্যাখ্যা: অধিকার হলো আইন বা সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত এমন কিছু সুযোগ-সুবিধা বা স্বাধীনতা যা প্রত্যেক নাগরিক ভোগ করতে পারে। রাষ্ট্র এই অধিকারগুলো রক্ষা করতে বাধ্য।
* উদাহরণ: বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে, যেমন – বাকস্বাধীনতা, আইনের দৃষ্টিতে সমতা ইত্যাদি।
৪. কর্তব্য
(Duty):
* সহজ ব্যাখ্যা: কর্তব্য হলো সেইসব দায়িত্ব যা একজন নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের পালন করা উচিত। অধিকার ভোগের পাশাপাশি কর্তব্য পালনও জরুরি।
* উদাহরণ: রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য, আইন মেনে চলা, নিয়মিত কর প্রদান করা নাগরিকদের অন্যতম কর্তব্য।
৫. সংবিধান
(Constitution):
* সহজ ব্যাখ্যা: সংবিধান হলো একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি রাষ্ট্রের গঠন, সরকার পরিচালনার মূলনীতি, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও কর্তব্য এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে। অন্য কোনো আইন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হলে তা বাতিল বলে গণ্য হয়।
৬. মৌলিক অধিকার (Fundamental Rights):
* সহজ ব্যাখ্যা: সংবিধান দ্বারা নিশ্চিতকৃত নাগরিকদের সেইসব অপরিহার্য অধিকার যা তাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য জরুরি। এই অধিকারগুলো সাধারণত আদালত দ্বারা সুরক্ষিত থাকে।
* উদাহরণ: জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার, ধর্ম পালনের অধিকার, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ইত্যাদি।
৭. মামলা
(Case/Lawsuit):
* সহজ ব্যাখ্যা: যখন কোনো ব্যক্তি বা পক্ষ মনে করে যে তার কোনো আইনগত অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে বা তার প্রতি কোনো অন্যায় করা হয়েছে, তখন সে প্রতিকার চেয়ে আদালতে যে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা আবেদন করে, তাকেই মামলা বলে।
* উদাহরণ: জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে আদালতে দেওয়ানি মামলা করা হতে পারে।
৮. সাক্ষী
(Witness):
* সহজ ব্যাখ্যা: সাক্ষী হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোনো ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে জানেন বা দেখেছেন এবং আদালতে সেই বিষয়ে সাক্ষ্য বা প্রমাণ দেন।
* উদাহরণ: একটি দুর্ঘটনার সময় যিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, তিনি সেই দুর্ঘটনার সাক্ষী হতে পারেন।
৯. জামিন
(Bail):
* সহজ ব্যাখ্যা: কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিচার চলাকালীন সময়ে কিছু শর্তসাপেক্ষে কারাগারের বাইরে থাকার যে অনুমতি আদালত কর্তৃক দেওয়া হয়, তাকে জামিন বলে। এটি অস্থায়ী মুক্তি।
* উদাহরণ: কারো বিরুদ্ধে চুরির মামলা হলে, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আদালত তাকে নির্দিষ্ট শর্তে জামিনে মুক্তি দিতে পারেন।
১০. রায় (Judgment/Verdict):
* সহজ ব্যাখ্যা: মামলার শুনানি শেষে বিচারক বা আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য ও প্রমাণাদি বিবেচনা করে যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করেন, তাকে রায় বলে।
* উদাহরণ: একটি হত্যা মামলার বিচার শেষে আদালত অভিযুক্তকে দোষী বা নির্দোষ ঘোষণা করে রায় দিতে পারেন।
১১. আপিল
(Appeal):
* সহজ ব্যাখ্যা: নিম্ন আদালতের কোনো রায় বা আদেশে কোনো পক্ষ সন্তুষ্ট না হলে, সেই রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে পুনর্বিবেচনার জন্য যে আবেদন করা হয়, তাকে আপিল বলে।
* উদাহরণ: জেলা জজ আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে হাইকোর্টে আপিল করা।
১২. এফআইআর
(FIR - First Information Report):
* সহজ ব্যাখ্যা: কোনো আমলযোগ্য অপরাধ (যেসব অপরাধে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারে) সংঘটিত হওয়ার খবর প্রথম থানায় জানানো হলে পুলিশ তা লিপিবদ্ধ করে। এই লিখিত প্রাথমিক তথ্যকেই এফআইআর বা এজাহার বলে।
* উদাহরণ: চুরি, ডাকাতি বা মারামারির মতো ঘটনা ঘটলে থানায় এফআইআর করা হয়।
১৩. চার্জশিট
(Charge Sheet):
* সহজ ব্যাখ্যা: কোনো ফৌজদারি মামলায় পুলিশি তদন্ত শেষে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে পুলিশ আদালতে যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে, তাকে চার্জশিট বা অভিযোগপত্র বলে।
* উদাহরণ: একটি জালিয়াতির মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়।
১৪. অপরাধ
(Crime/Offense):
* সহজ ব্যাখ্যা: আইন দ্বারা নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য যেকোনো কাজ করা কে অপরাধ বলে।
* উদাহরণ: চুরি করা, প্রতারণা করা, খুন করা – এগুলো বিভিন্ন ধরনের অপরাধ।
১৫. শাস্তি
(Punishment):
* সহজ ব্যাখ্যা: কোনো অপরাধ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী অপরাধীকে যে দণ্ড দেওয়া হয়, তাকে শাস্তি বলে। এটি জরিমানা, কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।
* উদাহরণ: আদালত কর্তৃক চুরির দায়ে এক বছরের কারাদণ্ড একটি শাস্তি।
১৬. ধারা
(Section):
* সহজ ব্যাখ্যা: যেকোনো আইনকে বোঝার সুবিধার জন্য বিভিন্ন অংশে বা অনুচ্ছেদে ভাগ করা হয়। এই প্রতিটি অংশ বা অনুচ্ছেদকে ধারা বলে।
* উদাহরণ: দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের শাস্তির বিধান রয়েছে।
১৭. উপধারা
(Sub-section):
* সহজ ব্যাখ্যা: একটি ধারার অধীনে যদি আরও সুনির্দিষ্ট বা বিস্তারিত নিয়ম থাকে, সেগুলোকে উপধারা বলা হয়। এগুলো সাধারণত সংখ্যা বা অক্ষর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।
* উদাহরণ: আয়কর আইনের একটি ধারার অধীনে ১, ২, ৩ বা ক, খ, গ এভাবে উপধারা থাকতে পারে।
১৮. অধ্যাদেশ
(Ordinance):
* সহজ ব্যাখ্যা: যখন সংসদ অধিবেশন চলমান থাকে না, কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে কোনো আইন প্রণয়ন করা আবশ্যক হয়ে পড়ে, তখন রাষ্ট্রপতি যে আইন জারি করেন, তাকে অধ্যাদেশ বলে। এটি সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে অনুমোদিত না হলে বাতিল হয়ে যায়।
১৯. বিজ্ঞপ্তি
(Notification/Gazette):
* সহজ ব্যাখ্যা: সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত, নিয়ম, আইন বা আদেশ সর্বসাধারণকে জানানোর জন্য যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রকাশ করা হয়, তাকে বিজ্ঞপ্তি বলে। এটি সাধারণত সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়।
২০. চুক্তি
(Contract):
* সহজ ব্যাখ্যা: দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে আইন দ্বারা বলবৎযোগ্য কোনো সম্মতি বা বোঝাপড়াকে চুক্তি বলে। এতে প্রতিটি পক্ষের কিছু নির্দিষ্ট দায়িত্ব ও অধিকার থাকে।
* উদাহরণ: বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, পণ্য কেনাবেচার চুক্তি ইত্যাদি।
২১. দলিল
(Deed/Document):
* সহজ ব্যাখ্যা: কোনো বিষয়ের আইনগত প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত লিখিত কাগজপত্রকে দলিল বলে। এটি কোনো অধিকার, দাবি বা লেনদেনের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।
* উদাহরণ: জমির মালিকানার দলিল (Sale Deed), উইল (Will) ইত্যাদি।
২২. খসড়া
(Draft):
* সহজ ব্যাখ্যা: কোনো আইন, বিধি, চুক্তি বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ লিখিত বিষয় চূড়ান্ত করার আগে তার প্রাথমিক রূপ বা রূপরেখাকে খসড়া বলে।
* উদাহরণ: নতুন একটি আইন প্রণয়নের আগে তার খসড়া তৈরি করে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করা হয়।
২৩. আইনজীবী
(Lawyer/Advocate):
* সহজ ব্যাখ্যা: যিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং আদালতে মক্কেলের পক্ষে মামলা পরিচালনা করার বা আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য পেশাগতভাবে অনুমতিপ্রাপ্ত, তাকে আইনজীবী বলে।
২৪. আদালত
(Court):
* সহজ ব্যাখ্যা: যে স্থানে আইন অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালিত হয়, যেখানে বিচারক বা বিচারপতিরা আইনগত বিরোধের নিষ্পত্তি করেন এবং অপরাধের বিচার করেন, তাকে আদালত বলে।
* উদাহরণ: জেলা জজ আদালত, হাইকোর্ট বিভাগ, সুপ্রিম কোর্ট।
২৫. শুনানি
(Hearing):
* সহজ ব্যাখ্যা: আদালতে কোনো মামলার বিচার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উভয় পক্ষের বক্তব্য, সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন ও যুক্তিতর্ক শোনার জন্য যে কার্যক্রম পরিচালিত হয়, তাকে শুনানি বলে।
উপসংহার:
আইন ও বিধিনিষেধ সংক্রান্ত পরিভাষাগুলো প্রথম দেখায় জটিল মনে হলেও, একটু মনোযোগ দিলেই এর মূল অর্থ বোঝা সম্ভব। এই প্রবন্ধে আমরা কিছু প্রাথমিক কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ আইনি শব্দের সহজ ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি, এই আলোচনা আপনাদের আইনি সচেতনতা বাড়াতে এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে। মনে রাখবেন, আইন জানা এবং তা মেনে চলা প্রত্যেক সুনাগরিকের দায়িত্ব। এটি কেবল একটি সূচনা; আরও বিস্তারিত জানার জন্য নির্দিষ্ট আইন ও বিধিগুলো অধ্যয়ন করা প্রয়োজন।
জ্ঞান যাচাই: আপনার শেখা ঝালিয়ে নিন (১৫টি MCQ প্রশ্ন)
নিচের প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তরটি বেছে নিন:
১. রাষ্ট্র বা সমাজ দ্বারা তৈরি ও প্রযুক্ত নিয়মকানুনকে কী বলে?
(ক) বিধি
(খ) অধিকার
(গ) আইন
(ঘ) কর্তব্য
২. আইনকে সঠিকভাবে কার্যকর করার জন্য প্রণীত বিস্তারিত নিয়মাবলী কী?
(ক) অধ্যাদেশ
(খ) বিধি
(গ) সংবিধান
(ঘ) রায়
৩. সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা বা স্বাধীনতাকে কী বলে?
(ক) কর্তব্য
(খ) শাস্তি
(গ) অধিকার
(ঘ) মামলা
৪. একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কোনটি?
(ক) দণ্ডবিধি
(খ) দেওয়ানি কার্যবিধি
(গ) সংবিধান
(ঘ) অধ্যাদেশ
৫. কোনো আমলযোগ্য অপরাধের প্রাথমিক তথ্য পুলিশ যেখানে লিপিবদ্ধ করে, তাকে কী বলে?
(ক) চার্জশিট
(খ) এফআইআর (এজাহার)
(গ) রায়
(ঘ) আপিল
৬. বিচার চলাকালীন অভিযুক্ত ব্যক্তির অস্থায়ী মুক্তিকে কী বলে?
(ক) রায়
(খ) শাস্তি
(গ) সাক্ষী
(ঘ) জামিন
৭. নিম্ন আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে উচ্চ আদালতে পুনর্বিবেচনার আবেদনকে কী বলে?
(ক) এফআইআর
(খ) আপিল
(গ) চার্জশিট
(ঘ) শুনানি
৮. আইন দ্বারা নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য কাজকে কী বলে?
(ক) অধিকার
(খ) কর্তব্য
(গ) অপরাধ
(ঘ) বিধি
৯. আইনের বিভিন্ন অংশ বা অনুচ্ছেদকে কী নামে ডাকা হয়?
(ক) উপধারা
(খ) ধারা
(গ) বিজ্ঞপ্তি
(ঘ) খসড়া
১০. যখন সংসদ অধিবেশন চালু থাকে না, তখন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারিকৃত আইনকে কী বলে?
(ক) বিধি
(খ) বিজ্ঞপ্তি
(গ) অধ্যাদেশ
(ঘ) সংবিধান
১১. দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে আইন দ্বারা বলবৎযোগ্য সম্মতিকে কী বলে?
(ক) দলিল
(খ) খসড়া
(গ) চুক্তি
(ঘ) বিজ্ঞপ্তি
১২. কোনো বিষয়ের আইনগত প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত লিখিত কাগজপত্র কোনটি?
(ক) খসড়া
(খ) দলিল
(গ) বিজ্ঞপ্তি
(ঘ) অধ্যাদেশ
১৩. আদালতে মক্কেলের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তিকে কী বলে?
(ক) বিচারক
(খ) সাক্ষী
(গ) আইনজীবী
(ঘ) পুলিশ
১৪. পুলিশি তদন্ত শেষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়, তা কী?
(ক) এফআইআর
(খ) জামিননামা
(গ) চার্জশিট
(ঘ) রায়
১৫. মামলার শুনানি শেষে বিচারক যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন, তাকে কী বলা হয়?
(ক) আপিল
(খ) জামিন
(গ) রায়
(ঘ) আরজি
MCQ গুলোর সঠিক উত্তর:
১. (গ) আইন
২. (খ) বিধি
৩. (গ) অধিকার
৪. (গ) সংবিধান
৫. (খ) এফআইআর (এজাহার)
৬. (ঘ) জামিন
৭. (খ) আপিল
৮. (গ) অপরাধ
৯. (খ) ধারা
১০. (গ) অধ্যাদেশ
১১. (গ) চুক্তি
১২. (খ) দলিল
১৩. (গ) আইনজীবী
১৪. (গ) চার্জশিট
১৫. (গ) রায়
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন