সরকারি কাজকর্ম ও দেশের আইনকানুন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য জরুরি। এই আইনকানুন বা প্রশাসনিক নির্দেশাবলি বিভিন্ন নামে আমাদের সামনে আসে, যেমন – গেজেট, পরিপত্র, অধ্যাদেশ, বিধি, রুলস ইত্যাদি। অনেক সময় এই শব্দগুলো আমাদের কাছে কিছুটা জটিল মনে হতে পারে। আজকের এই বিশদ আলোচনায় আমরা এই প্রতিটি বিষয় সহজ ভাষায় বোঝার চেষ্টা করবো, যাতে সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা আমাদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারি এবং সরকারি কাজকর্মের স্বচ্ছতা উপলব্ধি করতে পারি।
কেন এই বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন?
- নাগরিক
অধিকার ও কর্তব্য: এই সকল দলিলের মাধ্যমেই
রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন অধিকার নিশ্চিত করে এবং তাদের কর্তব্য নির্ধারণ করে দেয়।
- সরকারি
সেবাপ্রাপ্তি: বিভিন্ন সরকারি সেবা পাওয়ার পদ্ধতি, যোগ্যতা ও শর্তাবলি এসব দলিলেই উল্লেখ থাকে।
- আইনের
প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া: দেশের আইনকানুন
জানলে তা মেনে চলা সহজ হয় এবং অজান্তে আইন ভঙ্গের আশঙ্কা কমে।
- সরকারি
কাজের স্বচ্ছতা: এই প্রকাশনাগুলো
সরকারি কাজের স্বচ্ছতা ও
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
চলুন, এবার প্রতিটি বিষয় বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক:
১. সরকারি গেজেট (Sarkari Gazette)
সরকারি গেজেট কী?
সহজ ভাষায়, সরকারি গেজেট হলো সরকারের অধিকারিক বা সরকারি ঘোষণাপত্র বা পত্রিকা। এটি একটি নিয়মিত প্রকাশনা, যার মাধ্যমে সরকার দেশের জনগণকে গুরুত্বপূর্ণ আইন, বিধি, নিয়োগ, বদলি, দরপত্র এবং অন্যান্য সরকারি সিদ্ধান্ত ও বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে অবহিত করে। এটি সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে।
গেজেটে কী কী প্রকাশিত হয়?
- সংসদে পাস হওয়া নতুন আইন বা বিদ্যমান
আইনের সংশোধনী।
- রাষ্ট্রপতির
জারি করা অধ্যাদেশ।
- সরকারের প্রণীত বিভিন্ন বিধি ও প্রবিধি।
- গুরুত্বপূর্ণ
সরকারি পদে নিয়োগ, বদলি ও
পদোন্নতির আদেশ।
- বিভিন্ন সরকারি দপ্তর বা সংস্থার বিজ্ঞপ্তি
ও
নোটিশ।
- সরকারি নিলাম, দরপত্র ও অন্যান্য আর্থিক ঘোষণা।
- বিভিন্ন কমিশন ও কমিটির রিপোর্ট (যদি সরকার প্রকাশ করতে চায়)।
- আদালতের গুরুত্বপূর্ণ
নির্দেশ বা রায় (বিশেষ ক্ষেত্রে)।
গুরুত্ব:
সরকারি গেজেটে প্রকাশিত কোনো বিষয় আইনগত ভিত্তি লাভ করে। অর্থাৎ, গেজেটে কিছু প্রকাশিত হওয়ার অর্থ হলো, সেটি সরকারিভাবে স্বীকৃত ও কার্যকর। এর একটি কপি সরকারি দপ্তরে ও লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত থাকে।
কোথায় পাবেন?
সাধারণত, বাংলাদেশ সরকারের মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (BG Press) থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়। তাদের ওয়েবসাইটে (www.dpp.gov.bd) গেজেটের ডিজিটাল কপি পাওয়া যায়।
২. পরিপত্র (Paripatra /
Circular)
পরিপত্র কী?
পরিপত্র হলো কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সরকারি সংস্থা কর্তৃক তার অধীনস্থ দপ্তর বা কর্মচারীদের জন্য জারি করা নির্দেশিকা বা ব্যাখ্যা। এটি সাধারণত কোনো বিদ্যমান আইন, বিধি বা নীতির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন, স্পষ্টীকরণ বা কোনো বিশেষ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য জারি করা হয়।
উদাহরণ:
- ছুটি সংক্রান্ত
নতুন নিয়মাবলী ব্যাখ্যা করে একটি পরিপত্র।
- অফিসের সময়সূচী পরিবর্তনের
বিষয়ে পরিপত্র।
- কোনো নির্দিষ্ট
প্রকল্প বাস্তবায়নের ধাপগুলো উল্লেখ করে পরিপত্র।
- সরকারি কর্মচারীদের
আচরণবিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা।
গুরুত্ব:
পরিপত্র কোনো নতুন আইন তৈরি করে না, বরং বিদ্যমান আইন বা বিধিমালা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যতা ও স্পষ্টতা আনে। এটি একটি প্রশাসনিক নির্দেশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য এটি মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
কোথায় পাবেন?
সাধারণত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সরকারি দপ্তরের ওয়েবসাইটে অথবা তাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ মাধ্যমে পরিপত্র পাওয়া যায়।
৩. অধ্যাদেশ (Adhyadesh /
Ordinance)
অধ্যাদেশ কী?
যখন জাতীয় সংসদ অধিবেশনে থাকে না (যেমন, সংসদ ভেঙে দেওয়া হলে বা অধিবেশন স্থগিত থাকলে), কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে কোনো আইন প্রণয়নের প্রয়োজন দেখা দেয়, তখন মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ক্ষমতাবলে যে অস্থায়ী আইন জারি করেন, তাকে অধ্যাদেশ বলে।
গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য:
- অধ্যাদেশের
আইনগত ক্ষমতা সংসদের প্রণীত আইনের মতোই, তবে এটি অস্থায়ী।
- সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে
অধ্যাদেশটি অনুমোদনের জন্য পেশ করতে হয়।
- সংসদ অনুমোদন করলে এটি স্থায়ী আইনে পরিণত হয়। আর অনুমোদন না করলে বা নির্দিষ্ট
সময়ের মধ্যে সংসদে পেশ না করা হলে এর কার্যকারিতা লোপ পায়।
- সংবিধানের
৯৩ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ প্রণয়নের ক্ষমতা সম্পর্কে বলা হয়েছে।
উদাহরণ:
ধরুন, হঠাৎ করে কোনো একটি বিষয়ে দ্রুত আইন প্রয়োগ করা দরকার, কিন্তু সংসদ অধিবেশন নেই। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন।
কোথায় পাবেন?
অধ্যাদেশগুলো সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও, আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এগুলো পাওয়া যেতে পারে।
৪. বিধি (Bidhi / Rules)
বিধি কী?
সংসদে যখন কোনো আইন পাস হয়, তখন সেই আইনের বিভিন্ন ধারাকে বাস্তবে প্রয়োগ করার জন্য বিস্তারিত পদ্ধতি ও নিয়মকানুন প্রয়োজন হয়। এই বিস্তারিত পদ্ধতি ও নিয়মকানুনগুলোই হলো বিধি বা Rules। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এই বিধিগুলো প্রণয়ন করে।
উদাহরণ:
- ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ একটি মূল আইন। এই আইনের বিভিন্ন ধারা, যেমন - ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, গাড়ির ফিটনেস, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের শাস্তি ইত্যাদি কার্যকর করার জন্য ‘সড়ক পরিবহন বিধিমালা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই বিধিমালায় বিস্তারিতভাবে বলা আছে কীভাবে লাইসেন্স দেওয়া হবে, ফিটনেস পরীক্ষার প্রক্রিয়া কী হবে ইত্যাদি।
- ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর অধীনে সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত বিধিমালা রয়েছে।
গুরুত্ব:
বিধি ছাড়া অনেক আইনই সঠিকভাবে প্রয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়ে। বিধি আইনকে আরও স্পষ্ট ও প্রয়োগযোগ্য করে তোলে। বিধিগুলো মূল আইনের অধীনে প্রণীত হয় এবং মূল আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে না।
কোথায় পাবেন?
বিধিমালা সাধারণত সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ওয়েবসাইটেও এগুলো পাওয়া যেতে পারে।
৫. রুলস (Rules)
রুলস কী?
‘বিধি’ এবং ‘রুলস’ শব্দ দুটি অনেক ক্ষেত্রে সমার্থক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইংরেজিতে 'Rules' শব্দটি বাংলায় 'বিধি' বা 'নিয়মাবলী' অর্থেই প্রচলিত। তবে কিছু ক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কার্যপ্রণালী বা আদালতের কার্য পরিচালনার নিয়মাবলীকেও ‘রুলস’ বলা হয়।
যেমন:
- Rules of Business: সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের
মধ্যে কাজ ভাগ করে দেওয়া এবং তা পরিচালনার জন্য যে নিয়মাবলী থাকে।
- Rules of Procedure: জাতীয় সংসদের অধিবেশন পরিচালনা
বা আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যে নির্দিষ্ট নিয়মাবলী।
সাধারণত, আমরা যখন আইন প্রয়োগের জন্য বিস্তারিত নিয়মাবলীর কথা বলি, তখন ‘বিধি’ শব্দটিই বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে ‘রুলস’ শব্দটিও একই অর্থে বিভিন্ন দলিলে দেখতে পাওয়া যায়।
বিধি ও রুলস এর মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য (যদি থাকে):
অনেক সময় ‘বিধি’ বলতে মূল আইনের অধীনে প্রণীত বিস্তারিত নিয়মাবলীকে বোঝায়, যা সর্বসাধারণের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। আর ‘রুলস’ কিছু ক্ষেত্রে আরও নির্দিষ্ট হতে পারে, যেমন কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রণালী। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো একই অর্থে ব্যবহৃত হয়।
সবকিছুর মধ্যে সম্পর্ক:
- আইন
(Act): এটি হলো মূল ভিত্তি, যা জাতীয় সংসদ প্রণয়ন করে।
- অধ্যাদেশ
(Ordinance): সংসদ না থাকলে রাষ্ট্রপতির
প্রণীত অস্থায়ী আইন।
- বিধি/রুলস
(Rules): আইনের ধারাগুলো
বাস্তবায়নের জন্য বিস্তারিত পদ্ধতি ও
নিয়মকানুন। এগুলো মূল আইনের অধীনে তৈরি হয়।
- পরিপত্র
(Circular): আইন বা বিধির প্রয়োগ স্পষ্ট করার জন্য বা প্রশাসনিক
নির্দেশনার জন্য জারি করা হয়।
- সরকারি
গেজেট (Gazette): এই সব আইন, অধ্যাদেশ,
গুরুত্বপূর্ণ বিধি ও
পরিপত্র (বিশেষত যেগুলো সর্বসাধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ) সরকারিভাবে জানানোর মাধ্যম। গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমেই এগুলো আইনি বৈধতা ও
কার্যকারিতা পায়।
সাধারণ মানুষের জন্য করণীয়:
- গুরুত্বপূর্ণ
সরকারি ওয়েবসাইট যেমন – আইন মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ গেজেট (dpp.gov.bd) এবং নিজ নিজ এলাকার সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন।
- নতুন কোনো আইন বা বিধি সম্পর্কে
জানতে হলে নির্ভরযোগ্য সূত্র ব্যবহার করুন।
- কোনো বিষয়ে সন্দেহ হলে আইনজীবীর
পরামর্শ নিতে পারেন।
আশা করি, এই আলোচনার মাধ্যমে সরকারি গেজেট, পরিপত্র, অধ্যাদেশ, বিধি ও রুলস সম্পর্কে আপনাদের একটি স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়েছে। এই জ্ঞান আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং রাষ্ট্রের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেদের অধিকার ও দায়িত্ব পালনে সহায়ক হবে।
জ্ঞান যাচাই (Knowledge Check
MCQs)
এবার আপনার নতুন পাওয়া জ্ঞান পরীক্ষা করার জন্য নিচে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন দেওয়া হলো। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি বেছে নিন।
১. সরকারের অধিকারিক ঘোষণাপত্র বা পত্রিকা কোনটি?
(ক) পরিপত্র
(খ) অধ্যাদেশ
(গ) সরকারি গেজেট
(ঘ) বিধি
২. জাতীয় সংসদ অধিবেশন না থাকলে জরুরি আইন কে জারি করতে পারেন?
(ক) প্রধানমন্ত্রী
(খ) স্পিকার
(গ) রাষ্ট্রপতি
(ঘ) প্রধান বিচারপতি
৩. রাষ্ট্রপতির জারি করা অস্থায়ী আইনকে কী বলা হয়?
(ক) বিধি
(খ) অধ্যাদেশ
(গ) পরিপত্র
(ঘ) গেজেট
৪. মূল আইনের ধারাগুলো বাস্তবে প্রয়োগ করার জন্য বিস্তারিত পদ্ধতি ও নিয়মকানুনকে কী বলে?
(ক) অধ্যাদেশ
(খ) পরিপত্র
(গ) রুলস বা বিধি
(ঘ) প্রস্তাবনা
৫. কোনটির মাধ্যমে সরকারি আইন, বিধি, নিয়োগ ইত্যাদি জনগণকে জানানো হয়?
(ক) দৈনিক পত্রিকা
(খ) টেলিভিশন সংবাদ
(গ) সামাজিক মাধ্যম
(ঘ) সরকারি গেজেট
৬. পরিপত্র সাধারণত কারা জারি করে?
(ক) জাতীয় সংসদ
(খ) আদালত
(গ) মন্ত্রণালয় বা সরকারি সংস্থা তার অধীনস্থদের জন্য
(ঘ) সাধারণ জনগণ
৭. অধ্যাদেশকে স্থায়ী আইনে পরিণত করতে হলে কার অনুমোদন প্রয়োজন?
(ক) রাষ্ট্রপতির
(খ) প্রধানমন্ত্রীর
(গ) জাতীয় সংসদের
(ঘ) আইনমন্ত্রীর
৮. বাংলাদেশ সরকারের গেজেট মুদ্রণ ও প্রকাশনার দায়িত্বে নিয়োজিত কোনটি?
(ক) আইন মন্ত্রণালয়
(খ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
(গ) বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অফিস (বিজি প্রেস)
(ঘ) তথ্য মন্ত্রণালয়
৯. "Rules of Business" কীসের উদাহরণ?
(ক) অধ্যাদেশ
(খ) সাধারণ আইন
(গ) পরিপত্র
(ঘ) রুলস/বিধি (সরকারি কার্যপ্রণালী বিধি)
১০. কোনটি নতুন আইন তৈরি করে না, বরং বিদ্যমান আইন বা বিধি স্পষ্ট করে?
(ক) অধ্যাদেশ
(খ) পরিপত্র
(গ) আইন (Act)
(ঘ) বিল
১১. সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার পর কোনো বিষয় কী লাভ করে?
(ক) জনপ্রিয়তা
(খ) বিতর্ক
(গ) আইনগত ভিত্তি ও কার্যকারিতা
(ঘ) শুধুমাত্র সরকারি স্বীকৃতি
১২. 'সড়ক পরিবহন বিধিমালা' কোনটির অধীনে প্রণীত হয়েছে?
(ক) একটি পরিপত্রের অধীনে
(খ) 'সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮' এর অধীনে
(গ) রাষ্ট্রপতির একটি বিশেষ আদেশের অধীনে
(ঘ) প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়
১৩. আইন প্রণয়নের মূল ক্ষমতা কার হাতে?
(ক) রাষ্ট্রপতির
(খ) বিচার বিভাগের
(গ) জাতীয় সংসদের
(ঘ) মন্ত্রিপরিষদের
১৪. সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য কোনো বিষয়ে নির্দেশনা বা স্পষ্টীকরণ দিতে কোনটি ব্যবহৃত হয়?
(ক) অধ্যাদেশ
(খ) বিল
(গ) পরিপত্র
(ঘ) রিট আবেদন
১৫. বিধি বা রুলস প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্য কী?
(ক) নতুন শাস্তি নির্ধারণ করা
(খ) আইনকে সহজবোধ্য ও প্রয়োগযোগ্য করে তোলা
(গ) জনগণের মতামত সংগ্রহ করা
(ঘ) আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদন করা
উত্তরমালা (Answer Key for MCQs):
১. (গ) সরকারি গেজেট
২. (গ) রাষ্ট্রপতি
৩. (খ) অধ্যাদেশ
৪. (গ) রুলস বা বিধি
৫. (ঘ) সরকারি গেজেট
৬. (গ) মন্ত্রণালয় বা সরকারি সংস্থা তার অধীনস্থদের জন্য
৭. (গ) জাতীয় সংসদের
৮. (গ) বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অফিস (বিজি প্রেস)
৯. (ঘ) রুলস/বিধি (সরকারি কার্যপ্রণালী বিধি)
১০. (খ) পরিপত্র
১১. (গ) আইনগত ভিত্তি ও কার্যকারিতা
১২. (খ) 'সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮' এর অধীনে
১৩. (গ) জাতীয় সংসদের
১৪. (গ) পরিপত্র
১৫. (খ) আইনকে সহজবোধ্য ও প্রয়োগযোগ্য করে তোলা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন