"কর" বা "ট্যাক্স" শব্দটি শুনলেই আমাদের অনেকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। বিষয়টি বেশ জটিল মনে হওয়ায় আমরা অনেকেই এটি এড়িয়ে চলতে চাই। কিন্তু একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে দেশের কর ব্যবস্থা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, আমাদের দেওয়া করের টাকাতেই দেশের উন্নয়নের চাকা সচল থাকে—তৈরি হয় রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, স্কুল এবং আরও অনেক কিছু।
এই লেখাটির উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের প্রচলিত সব ধরনের কর সম্পর্কে আপনাকে একটি সহজ এবং পরিষ্কার ধারণা দেওয়া। আমরা প্রতিটি করের সংজ্ঞা, প্রয়োগ এবং গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব যাতে আপনি সহজেই পুরো বিষয়টি বুঝতে পারেন।
চলুন, শুরু করা যাক!
কর কী এবং কেন দেওয়া হয়?
সহজ কথায়, কর হলো সরকার কর্তৃক জনগণের উপর আরোপিত এক প্রকার বাধ্যতামূলক অর্থ। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য এবং জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য সরকারের অর্থের প্রয়োজন হয়। এই অর্থের প্রধান উৎসই হলো জনগণের দেওয়া কর।
বাংলাদেশে করের প্রকারভেদ
বাংলাদেশে প্রচলিত কর ব্যবস্থাকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:
১. প্রত্যক্ষ কর
(Direct Tax): যে করদাতা সরাসরি সরকারকে পরিশোধ করেন এবং এর ভার অন্য কারো উপর চাপিয়ে দিতে পারেন না, তাকে প্রত্যক্ষ কর বলে।
২. পরোক্ষ কর
(Indirect Tax): যে কর সরাসরি সরকারকে প্রদান করা হয় না, বরং কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয়ের সময় বিক্রেতাকে প্রদান করা হয় এবং বিক্রেতা পরে তা সরকারকে পরিশোধ করে, তাকে পরোক্ষ কর বলে। এর ভার সহজেই অন্যের উপর চাপানো যায়।
এবার চলুন এই দুই প্রকারের অধীনে থাকা বিভিন্ন কর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
১. প্রত্যক্ষ কর
(Direct Tax)
বাংলাদেশের প্রত্যক্ষ করের সবচেয়ে বড় এবং পরিচিত উদাহরণ হলো আয়কর
(Income Tax)।
ক) আয়কর
(Income Tax)
এটা কী?
আয়কর হলো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয়ের উপর আরোপিত কর। একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট অর্থবছরে (সাধারণত জুলাই ১ থেকে জুন ৩০ পর্যন্ত) বিভিন্ন উৎস থেকে যে পরিমাণ আয় করেন, তার উপর নির্দিষ্ট হারে এই কর প্রদান করতে হয়।
কারা পরিশোধ করে?
যাদের করযোগ্য আয়
(Taxable Income) সরকারের নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে, তাদের সকলকেই আয়কর দিতে হয়। এটি হতে পারে কোনো চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা যেকোনো পেশার মানুষ। কোম্পানি বা সংস্থাকেও তাদের লাভের উপর আয়কর দিতে হয়, যা কর্পোরেট ট্যাক্স নামে পরিচিত।
আয়ের উৎস কী কী হতে পারে?
- বেতন বা চাকরি থেকে আয়
- বাড়ি বা সম্পত্তি ভাড়া থেকে আয়
- ব্যবসা বা পেশা থেকে আয়
- মূলধনী লাভ (যেমন: জমি বা শেয়ার বিক্রি করে লাভ)
- ব্যাংকে রাখা টাকার সুদ থেকে আয়
- অন্যান্য উৎস থেকে আয়
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- TIN (Taxpayer's
Identification Number): করদাতা হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য প্রত্যেককে একটি টিন সার্টিফিকেট নিতে হয়।
- আয়কর রিটার্ন: প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রত্যেক টিনধারীকে তার আয়, ব্যয় ও সম্পদের হিসাব সরকারের কাছে জমা দিতে হয়, একেই আয়কর রিটার্ন বলে।
২. পরোক্ষ কর
(Indirect Tax)
পরোক্ষ করের অধীনে বেশ কয়েক ধরনের কর রয়েছে। এগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
ক) মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট
(Value Added Tax - VAT)
এটা কী?
ভ্যাট হলো পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে একেবারে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে যে
"মূল্য সংযোজন" হয়, তার উপর আরোপিত কর। যদিও প্রতিটি স্তরে এই কর যুক্ত হয়, তবে চূড়ান্তভাবে এর পুরো ভার বহন করে শেষ ভোক্তা বা ক্রেতা।
সহজ উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাক:
ধরুন, একজন কৃষক ১০০ টাকায় তুলা বিক্রি করলেন।
১. একজন সুতা প্রস্তুতকারক সেই তুলা কিনে সুতা বানিয়ে ১৫০ টাকায় বিক্রি করলেন। এখানে তিনি মূল্য সংযোজন করেছেন (১৫০ - ১০০) = ৫০ টাকা। তাকে এই ৫০ টাকার উপর ভ্যাট দিতে হবে।
২. একজন কাপড় প্রস্তুতকারক ১৫০ টাকার সুতা কিনে কাপড় বানিয়ে ২৫০ টাকায় বিক্রি করলেন। তিনি মূল্য সংযোজন করলেন (২৫০ - ১৫০) = ১০০ টাকা। তাকে এই ১০০ টাকার উপর ভ্যাট দিতে হবে।
৩. একজন পোশাক প্রস্তুতকারক ২৫০ টাকার কাপড় কিনে একটি শার্ট বানিয়ে ৫০০ টাকায় বিক্রি করলেন। তিনি মূল্য সংযোজন করলেন (৫০০ - ২৫০) = ২৫০ টাকা। তাকে এই ২৫০ টাকার উপর ভ্যাট দিতে হবে।
আপনি যখন ৫০০ টাকায় শার্টটি কিনবেন, তখন এই শার্টের দামের মধ্যেই সমস্ত স্তরের ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অর্থাৎ, বিক্রেতা আপনার কাছ থেকে কর আদায় করে সরকারকে জমা দিচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশিরভাগ পণ্য ও সেবার উপর ১৫% হারে ভ্যাট প্রযোজ্য।
খ) আবগারি শুল্ক
(Excise Duty)
এটা কী?
আবগারি শুল্ক দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের উপর আরোপ করা হয়। অর্থাৎ, এটি মূলত উৎপাদন পর্যায়ে ধার্য করা হয়।
কোথায় প্রয়োগ করা হয়?
সাধারণত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের উপর আবগারি শুল্ক সবচেয়ে বেশি পরিচিত। একটি নির্দিষ্ট বছরে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যদি একটি নির্দিষ্ট সীমার বেশি টাকা জমা বা উত্তোলন (ডেবিট বা ক্রেডিট) হয়, তবে তার উপর আবগারি শুল্ক কাটা হয়। এছাড়া তামাকজাত দ্রব্য এবং সিমেন্টের মতো পণ্যের উৎপাদনের উপরও এই শুল্ক আরোপ করা হয়।
গ) সম্পূরক শুল্ক
(Supplementary Duty - SD)
এটা কী?
সম্পূরক শুল্ককে অনেকেই
"বিলাস কর" বা "Luxury Tax" বলে থাকেন। যে সকল পণ্যকে বিলাসবহুল, সামাজিকভাবে অনুৎসাহিত (যেমন: সিগারেট) অথবা অত্যাবশ্যকীয় নয় বলে মনে করা হয়, সেগুলোর উপর ভ্যাটের পাশাপাশি অতিরিক্ত যে কর আরোপ করা হয়, তাকে সম্পূরক শুল্ক বলে।
উদাহরণ:
- সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য
- সফট ড্রিংকস ও এনার্জি ড্রিংকস
- এয়ার কন্ডিশনার (AC)
- বড় ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পন্ন গাড়ি (Car/SUV)
- সিরামিকের তৈরি দামী তৈজসপত্র
এর মূল উদ্দেশ্য হলো এসব পণ্যের ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করা এবং অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা।
ঘ) আমদানি শুল্ক বা কাস্টমস ডিউটি
(Customs Duty)
এটা কী?
বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি করার সময় বন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যে শুল্ক বা কর আরোপ করে, তাকে আমদানি শুল্ক বা কাস্টমস ডিউটি বলে।
কেন আরোপ করা হয়?
- রাজস্ব আদায়: এটি সরকারের রাজস্ব আয়ের একটি বড় উৎস।
- দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা: বিদেশি পণ্যের উপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করলে সেটির দাম বেড়ে যায়। ফলে মানুষ দেশীয় পণ্য কিনতে উৎসাহিত হয় এবং দেশের শিল্প রক্ষা পায়।
বিভিন্ন পণ্যের উপর আমদানি শুল্কের হার ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
ঙ) টার্নওভার কর
(Turnover Tax)
এটা কী?
এটি মূলত ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য একটি সহজ কর ব্যবস্থা। যে সকল প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক বিক্রয় বা টার্নওভার একটি নির্দিষ্ট সীমার (বর্তমানে ৩ কোটি টাকা) কম, কিন্তু ভ্যাটের নিবন্ধনসীমার (৫০ লক্ষ টাকা) উপরে, তাদের ভ্যাট দেওয়ার পরিবর্তে মোট বিক্রয়ের উপর একটি নির্দিষ্ট ও কম হারে (যেমন: ৪%) কর দিতে হয়। একেই টার্নওভার কর বলে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ করসমূহ
উপরে আলোচিত করগুলো ছাড়াও আরও কিছু কর বাংলাদেশে প্রচলিত আছে। যেমন:
- ভূমি উন্নয়ন কর (Land
Development Tax): জমির মালিকানাস্বত্বের জন্য প্রতি বছর সরকারকে এই কর দিতে হয়।
- সারচার্জ (Surcharge): উচ্চ আয়সম্পন্ন ব্যক্তিদের (যাদের নিট সম্পদের পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে) আয়করের উপর অতিরিক্ত হারে যে কর দিতে হয়, তাকে সারচার্জ বলে।
- স্ট্যাম্প ডিউটি (Stamp Duty): জমি, ফ্ল্যাট বা সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন, চুক্তিপত্র এবং অন্যান্য আইনি দলিল নিবন্ধনের সময় স্ট্যাম্পের মাধ্যমে যে কর প্রদান করা হয়, তাকে স্ট্যাম্প ডিউটি বলে।
- উপহার কর (Gift Tax): নির্দিষ্ট সীমার বেশি মূল্যের উপহার প্রদান করা হলে তার উপর এই কর প্রযোজ্য হয়।
শেষ কথা
আশা করি, এই বিস্তারিত আলোচনার পর বাংলাদেশের কর ব্যবস্থা নিয়ে আপনার ধারণা এখন অনেক পরিষ্কার। কর দেওয়া কেবল একটি আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, এটি একটি নাগরিক দায়িত্বও বটে। আপনার দেওয়া করের টাকাতেই দেশ এগিয়ে যায় এবং দেশের প্রতিটি নাগরিক উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ পায়। তাই সময়মতো কর পরিশোধ করে একজন সুনাগরিকের ভূমিকা পালন করা আমাদের সকলেরই কর্তব্য।
জ্ঞান যাচাই পর্ব
(Knowledge Check MCQs)
আপনার অর্জিত জ্ঞান যাচাই করার জন্য নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন।
১. যে করের ভার অন্য কারো উপর চাপানো যায় না, তাকে কী বলে?
ক) পরোক্ষ কর
খ) মূল্য সংযোজন কর
গ) প্রত্যক্ষ কর
ঘ) আবগারি শুল্ক
২. বাংলাদেশের প্রত্যক্ষ করের প্রধান উদাহরণ কোনটি?
ক) ভ্যাট
খ) আয়কর
গ) সম্পূরক শুল্ক
ঘ) কাস্টমস ডিউটি
৩. ভ্যাট (VAT)
এর পূর্ণরূপ কী?
ক) Value Added Tax
খ) Very Important Tax
গ) Value Additional Tax
ঘ) Variable Asset Tax
৪. পণ্য উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে কোন করটি যুক্ত হয়?
ক) আয়কর
খ) সম্পূরক শুল্ক
গ) আবগারি শুল্ক
ঘ) মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)
৫. বিলাসবহুল বা সামাজিকভাবে অনুৎসাহিত পণ্যের উপর কোন করটি আরোপ করা হয়?
ক) টার্নওভার কর
খ) ভূমি উন্নয়ন কর
গ) সম্পূরক শুল্ক
ঘ) আয়কর
৬. দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত নির্দিষ্ট পণ্যের উপর কোন শুল্ক আরোপ করা হয়?
ক) আমদানি শুল্ক
খ) আবগারি শুল্ক
গ) উপহার কর
ঘ) স্ট্যাম্প ডিউটি
৭. বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির সময় কোন কর দিতে হয়?
ক) আবগারি শুল্ক
খ) কাস্টমস ডিউটি
গ) টার্নওভার কর
ঘ) সারচার্জ
৮. TIN এর পূর্ণরূপ কী?
ক) Taxpayer's Identification Number
খ) Taxpayer's Income Number
গ) Tax Information Network
ঘ) Tax Identification Notice
৯. ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ভ্যাটের বিকল্প হিসেবে কোন কর ব্যবস্থা চালু আছে?
ক) সারচার্জ
খ) সম্পূরক শুল্ক
গ) টার্নওভার কর
ঘ) আয়কর
১০. ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের উপর কোন শুল্ক প্রযোজ্য হতে পারে?
ক) ভ্যাট
খ) আবগারি শুল্ক
গ) আমদানি শুল্ক
ঘ) উপহার কর
১১. নিচের কোনটি আয়ের উৎস হিসেবে গণ্য হয় না?
ক) বেতন
খ) ব্যবসার লাভ
গ) বন্ধুর কাছ থেকে নেওয়া ধার
ঘ) বাড়ি ভাড়া
১২. আমদানি শুল্কের প্রধান উদ্দেশ্য কী?
ক) রপ্তানি বাড়ানো
খ) দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা ও রাজস্ব আদায়
গ) পণ্যের দাম কমানো
ঘ) পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ
১৩. উচ্চ আয়সম্পন্ন ব্যক্তিদের আয়করের উপর অতিরিক্ত যে কর দিতে হয়, তাকে কী বলে?
ক) সারচার্জ
খ) ভ্যাট
গ) স্ট্যাম্প ডিউটি
ঘ) আবগারি শুল্ক
১৪. জমি বা ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের সময় কোন করটি দিতে হয়?
ক) উপহার কর
খ) স্ট্যাম্প ডিউটি
গ) সারচার্জ
ঘ) টার্নওভার কর
১৫. কোন করটি সরাসরি ভোক্তার কাছ থেকে আদায় করা হয়?
ক) আয়কর
খ) কর্পোরেট ট্যাক্স
গ) মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)
ঘ) ভূমি উন্নয়ন কর
১৬.
"করযোগ্য আয়"
বলতে কী বোঝায়?
ক) মোট আয়
খ) যে আয়ের উপর কর দিতে হয়
গ) মোট ব্যয়
ঘ) মোট সম্পদ
১৭. সফট ড্রিংকস বা এনার্জি ড্রিংকসের উপর ভ্যাটের পাশাপাশি কোন করটি প্রযোজ্য?
ক) আবগারি শুল্ক
খ) আমদানি শুল্ক
গ) সম্পূরক শুল্ক
ঘ) টার্নওভার কর
১৮. প্রতি বছর আয়, ব্যয় ও সম্পদের হিসাব জমা দেওয়াকে কী বলে?
ক) টিন সার্টিফিকেট
খ) আয়কর রিটার্ন
গ) ভ্যাট চালান
ঘ) সম্পদ বিবরণী
১৯. কর দেওয়া কেন জরুরি?
ক) এটি একটি আইনি বাধ্যবাধকতা
খ) এটি দেশের উন্নয়নে সহায়তা করে
গ) এটি নাগরিক দায়িত্ব
ঘ) উপরের সবগুলোই সঠিক
২০. পরোক্ষ করের ভার চূড়ান্তভাবে কে বহন করে?
ক) সরকার
খ) উৎপাদনকারী
গ) বিক্রেতা
ঘ) ভোক্তা বা ক্রেতা
সঠিক উত্তরমালা:
১. গ) প্রত্যক্ষ কর
২. খ) আয়কর
৩. ক) Value Added Tax
৪. ঘ) মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)
৫. গ) সম্পূরক শুল্ক
৬. খ) আবগারি শুল্ক
৭. খ) কাস্টমস ডিউটি
৮. ক) Taxpayer's Identification Number
৯. গ) টার্নওভার কর
১০. খ) আবগারি শুল্ক
১১. গ) বন্ধুর কাছ থেকে নেওয়া ধার
১২. খ) দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা ও রাজস্ব আদায়
১৩. ক) সারচার্জ
১৪. খ) স্ট্যাম্প ডিউটি
১৫. গ) মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)
১৬. খ) যে আয়ের উপর কর দিতে হয়
১৭. গ) সম্পূরক শুল্ক
১৮. খ) আয়কর রিটার্ন
১৯. ঘ) উপরের সবগুলোই সঠিক
২০. ঘ) ভোক্তা বা ক্রেতা